Friday, October 27, 2017

From the Pages of the Past (Part-1)

কালকে ঘুমোতে ঘুমোতে হঠাথ যেন জীবনের কিছু পুরনো পাতা চোখের সামনে ভেসে উঠলো । হঠাত যেন অনেক কিছু জিনিস খুব তাড়াতারি মস্তিষ্ক ও চোখের মাঝে যে ফাঁক থাকে, সেই দিয়ে চলে গেল । অনেক জনের অনেক নামে আমায় ডাকলো, কেউ বাবু, কেউ বান্টী , কেউ আবার আমার ভালো নাম কল্যাণ । একে একে সবাই যেন ডাকছে । 

বইতে পড়েছি কি ইহলোক আর পরলোকের মাঝখানে একটা বিশাল বড় লোক আছে । সেই লোক পার না করে ওপার যাওয়া জাইনা । কারো কারো জন্য এই লোকটা বয় শুন্য রয়ের শুন্যর মত হতে পারে আর কোনো কনোর জন্য এইটা একটা অবিরাম মরুভূমির মত । জল নেই, আলো শুন্য, খালি বাতাস আর বালি । এই দুই তথ্যের মধ্যে সৃষ্টি হয়ে এক মৃগ্ত্রিশ্নার । সেই মৃগ্ত্রিশ্নার ভেতরে থাকে স্মৃতী । কালকে বোধ হয় সেই মৃগ্ত্রিশ্নার দর্শন হয়েছিল ।

পর্ণস্রীর ওই পাড়া , তাপসদা, সন্জু, সন্নি স্কুল , শায়লা , স্বস্তিকা , বিগ আন্টী , রেবা আন্টী কেমন যেন দ্রুত বেগে চোখ আর মনের ফাঁকের মধ্যে দিয়ে দেখা দিয়ে যায়ে । জানি না কারা বেঁচে আর কারা নেই । ভালো লাগলো । ইটের রাস্তা, পাসে  পুকুর, একটু লম্বা , খুব একটা দিঘীর মত কিন্তু অত বড় না । ওই ইটের রাস্তায় ক্রিকেট খেলতাম শীতকালে আর গরমকালে ফুটবল । মাঝে মাঝে যখন বল পুকুরে পড়ে যেত তখন এর অর ঘাড়ে দোষ চাপানো হত । 
 "এই বান্টি কেন এত জোরে কেন  মারলীরে, কোনো কান্ড গ্নান আছে কি সেটাও ডকে তুলেছিস ?"
  "না তাপসদা ব্যাস লেগে গেল ।" 
"লেগে গেল বৈকী, অত জোরে না মারলে বল কি হাওয়া ভেসে মাঝ পুকুরে চলে গেল ?"
"জানিনা তাপসদা। বোধ হয় এক্সপার্ট হয়ে গেছি। "
" ওহঃ এক্সপার্ট আমার।  তা সুনী বল কি এই এক্সপার্ট আনবে না কোনো জলপরী প্রকট হবেন বল দিতে। "
ভেতরে যেন কিছু খালি হয়ে গেল । এত বড় পুকুর, তাও আবার সাতার ঠিক জানা নেই , আবার বয়েসটা তো কম। তখনে মনে পড়ল বাবা কি বলেছিল।  
"ক্রিকেট খেলাতে ব্যাটসম্যান কিনা রাজা হয়ে, ছক্কা, চৌকো এবং ক্যাচ আউট সব অখ্যাতি ও সুখ্যাতি বোলার নেয়। "
নয়ন বোলিং করছিল তাই ঠিক সময় বাবার দেওয়া শিক্ষা কাজে এসে গেল।  একটা তুমুল বিবাদ আর আমি একা ওই বিবাদে আসামি ও রক্ষক। শেষ পর্যন্ত এই বিবাদ চলল আর খেলা মাথায় উঠলো।  সাড়ে পাঁচটার সময় সন্ধ্য শঙ্খধ্বনি হয়ে আর বল আনার চে বেশি ভয় করে সন্ধ্যের পরে ঘরে পৌছনোর । 
সাতটা বাজার আকে গৃহ কার্য শেষ করা অনিবার্য, নত সাড়ে সাতটায়, ঠিক সংবাদের পরে বিক্রম বেতাল দেখা যাবে না।  
অবশ্য গৃহ কার্য না করলে রেবা আন্টী অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হবেন ও হয়েত স্কেলের বাড়ি খেতে হতে পারে । 

তখন কার দিনে স্কেল ছিল একটা আতঙ্কের বস্তু।  আজ অবশ্য আতঙ্কের পরিভাষা অনেক বদলেছে।  আজ আধুনিক হবার আড়ালে কথাও ওই আতঙ্কটা একটা ব্যঙ্গ হয়ে দাড়িয়েছে । কাল বুধবার, অর্থাত মধ্য সপ্তাহ আর সপ্তাহের সবচে ভয়া বহ দিন । কালকে নখ-পরীক্ষণ হবে, তার মানে সকালে নেল-কাটার চলবে আর সেই-খান থেকে ভয়ের সৃষ্টি ।

আজ যেন ওই বল মাঝ পুকুরে ভাসছে, প্রতীক্ষা করছে কোনো সাতারুর, ওই বল উঠিয়ে নিয়ে যাবে আর আবার খেলা শুরু হবে।  

হঠাত ঝড় তুমুল ঝড় , চারে দিকে বালী আর বালী, তাপশদাকে ডাকলাম কিন্তু নিজের আওয়াজ যেন নিজের কানেই গেল । তাপসদা উধাও, পুকুর আর নেই , কচুরি পানা, পাশে নারকোল গাছ কিছু নেই, সুধু মরুভূমি ।

No comments:

Post a Comment