Friday, October 27, 2017

From the pages of past (Part III) [My First Business Deal]

বুধবার সকাল বেলা। তখন বাজে ছটা।  সুধার মা , আমাদের কাজের লোক আর এক ঘন্টার মধ্যে এসে উপস্থিত হবেন। রাত্রীর বাসন এখনো পড়ে আছে আর সুধার মা না আসলে কাজ বেড়ে যাবে। কাজের লোকের আগমন যেন একটা আবির্ভাবের মহত্য একটা গৃহনির জন্য। জেঠু বলে কি সব পুজোর মধ্যে বিষ্ণু পুজো করে বিষ্ণু কে সন্তুষ্ট করা নাকি সবচে কঠিন, তেমনি একটা ভালো কাজের লোক পাওয়ার জন্য বিষ্ণু পুজো করা অনিবার্য, আমার মা বোধ হয় বিষ্ণু পুজো তে উত্তীর্ণ হয়েছিল তাই সুধার মার মত সময়নিষ্ঠ ও নিয়মনিষ্ঠ কাজের লোক পেয়েছিল। 

তবে সেই দিন বোধ হয় বিষ্ণু তাকুরের আলাদা মত ছিল। সুধার মা সেদিন আসলো না। তাড়া হুড়ো তে নখ কাটা হলো না । সন্নি স্কুল আমাদের বাড়ি থেকে প্রায় অর্ধেক কিলোমিটার দুরে ছিল । সাধারণত হেটে যেতাম, বাবা অফিস যাওয়ার পথে ছেড়ে দিত আর মা দুপুরবেলা নিয়ে আসত ।


নখ তো কাটা হলনা আর নখ না কেটে স্কুলে প্রবেশ করলাম। প্রার্থনা গাওয়া হলো, তারপর নখ পরীক্ষনের পালা । 

সব ছাত্রালয়ে বিদ্যাসাগরের গোপাল ও রাখল দুজনেই বসবাস করে। আমার খ্যাতি অবশ্য রাখালের মত ছিল । দুষ্টু বা দুরন্ত বললে ন্যূনোক্তি হবে বরঞ্চ আমাকে উগ্রপন্থীর শ্রেণীতে রাখা গেলে ভুল হবে না ।

"কল্যাণ আজকে নখ কেটে আসনি ?"

" না । মা আজকে নখ কাটতে পারেনি ।"

"কেন?"

"সুধার মা ডুব মেরেছে ।"

"সুধার মা? কে সুধার মা ?"

"আরে আমাদের কাজের লোক আন্টি , ও আজ ডুব মেরেছে ।"

"ডুব মেরেছে মানে, এটা কি কোনো ভাষা হলো? এমন ভাবে বলতে হয়ে? "

"আমি যা সুনেছি তাই বলেছি আন্টি "

You should always cut your nails. This is not the way to come to the school, I will have to call your father. Give me your hand. 

এমন সব সুনে  আমি আমার হাথটা আগে করে দী আর সটাং করে একটা স্কেলের বাড়ি খাই । কিছুক্ষণ ব্যথা করে বটে কিন্তু এখন অভ্যাস হয়ে গেছে ।

তবে এই কুকর্মে যে আমি একা নয় সেইটাও জানি । পলী মাসির মেয়ে শায়লা সেও আমার সাথে ওই সারিতে দাঁড়িয়ে ছিল । শায়লা অবশ্য ওই স্কেলের বাড়ি ভালো ভাবে নিতে পারল না । দু চোখ দিয়ে গঙ্গা আর যমুনা বয়ে চলেছে । কি জানে কোন কারণে নিয়মিত ভাবে নখ কাটার প্রার্থী আজ নখ না কেটে এই আসামী পল্টনে দাঁড়িয়ে ছিল । 

"তুই নখ না কেটে এসেছিস "
" হ্যা "
" কেন পলি মাসি কেটে দেয়েনি "

শায়লার এই কথা সুনে কান্না আরও বেড়ে গেল । আসলে ব্যাপার ঠিক অন্য । ও কিন্তু পছন্দ করত না কি কেউ বলুক পলি মাসি অর নখ কেটেছে কেননা, শায়লা আমাদের মধ্যে একটা ছাপ বানিয়ে রেখেছিল কি অর নখ ও নিজে কাটে। আমি অবশ্য সত্যের সন্ধান পাই যখন অর বাড়িতে খেলতে যাই। শায়লা অর নখ কাটে না । পলি মাসি অত্যন্ত যত্নে ওর নখ কেটে দেয়ে। শায়লার এই গোপনীয় সত্য তখন খালি আমি জানি । তাই নিয়ে সেই কান্না । 

খুব ঝগড়া হত আমাদের, আবার আমরা সবাই মিলে খেলতাম খুব ভালো করে আমি, শায়লা, সৌরজ্যতি , ইন্দ্রনীল , স্বস্তিকা ও রণদীপ । ইংরেজি ক্লাস শেষ হবার পরেই খেলার সময় অবধি ছিল । তাই শায়লা কে বললাম 

"এই শায়লা "

"কি ?"

"আমি কিন্ত সব জানি"

"তার মানে"

"আমি কিন্তু সবাইকে বলে দেব কি তুই তর নখ নিজে কাটিস না, পলি মাসি কেটে দেয়"

"না। এমন করিস না। তুই নাকি আমার বন্ধু।"

" হ্যা সেটা ঠিক কিন্তু যদি তুই চাস কি আমি কাউকে না বলি তালে লুকোচুরি খেলায় আজ আমি দান দেব না । আমার দান তুই দিবি ।"

এই ছিল আমার প্রথম business deal । আজ যখন নিজেকে দেখি, নিজের পেশা কে দেখি , তখন বুঝতে পারি কি এমন কত কত business deal যে করেছি । কিন্তু ওই চুক্তি তে যে আরাম পেয়েছিলাম সেই আরাম আর সন্তুষ্টি বোধ হয়ে আর পায়েনি । ব্যবসায়ে যদি ছলাকলাশূন্যতা থাকত তালে কত ভালই না হত ।  যদি এই বিশ্বে সব নির্ণয় একটা বাচ্চার কচি মন নিতে পারত তালে কি এত গ্লানি, এত দুখ, এত ভ্রান্তি থাকত?  বোধ হয়ে না । 

হঠাত  চোখের সামনে দিয়ে যেন একটা আগুনের ঝলকানি হয়ে গেল । শায়লা কে ডাকার চেষ্টা করলাম ।  খানিকটা জোরে, কিন্তু আবাজ পৌঁছলো না । সেদিন ও যে দান দিয়েছিল সেটা বোধ হয়ে আজ দিচ্ছে , নত আমি হয়েত লুকিয়ে আছি এমন কোনো স্থানে যেখানে দান দেওয়ার পাত্রী শায়লা তো এক দিকে, নিজেই নিজেকে খুঁজে পাচ্ছি না ।  

আমরা নিজেকে প্রগতিশীল বানিয়েছি, আলু কাবলি ছেড়ে হয়েত আলু-প্যাটি বার্গার খাচ্ছি, কিন্তু সন্তুষ্টি, শান্তি, আর খুশি কি পাচ্ছি? হয়েত সেটার উত্তর আমি নিজেও দিতে পারব না বা দিতে চাইনা । কেননা ইদুর দৌড়ে দৌড়তে  দৌড়তে আমি ল্যাজ বাঁচাতে ব্যস্ত । আমিও হয়ত মানুষরুপী ইদুর । 

বৈজ্ঞানিকরা বলে, স্বপ্ন শ্বেত-শ্যাম বর্ণ হয়ে , তবে স্মৃতি কিন্তু রঙ্গীন হয়ে। জানিনা শ্বেত-শ্যাম যুগের স্মৃতিগুলো আবার রঙ্গীন ভাবে দেখাতে পারব কি না । 

এর বর সোনাব সৌরজ্যতির কথা.... আমাদের "reference point"... যাকে বলে হীরের টুকরো ছেলের কথা...

From the pages of Past (Part - II)

সন্ধ্যা বেলা যখন শংখ বাজে তখন কেমন একটা অন্য রকম বাতাবরণ হয়ে ওঠে । মা বলে, কি ভগবান নাকি সন্ধ্যে বেলায় এক বার নজর দিয়ে দেখেন কি মর্ত লোকে বসবাস যারা করে তারা কি ঠিক মতন আছে না কারুর কোনো রকম কষ্ট হচ্ছে । তাই নাকি সন্ধ্যে বেলায় ঘুমোতে নেই । দেবতারা ভুল প্রতিক্রিয়া পান। শংখ বাজিয়ে ঘরের লোকেরা জানায় কি সব মঙ্গল আছে আর প্রার্থনা করে যেন সব মঙ্গল থাকে । আমার জন্য অবশ্য শংখ ছিল একটা বিপদ্সঙ্কেত, যেটা আমাকে বলত কি " এবার খেলা ছেড়ে বাড়ি যাওয়া উচিত নত পেদানী হতে পারে । 

আজ সহরের এই কোলাহলে খুব কম শংখ সোনা যায়ে। মার কথা যদি সত্তী হয়ে তালে এর দুটো তাত্পর্য হতে পারে ।

১. হয় তো সবাই এত সুরক্ষিত কি আজ কাল ভগবানকে কুশল সমাচার দেওয়ার প্রয়োজন মনে করে না ।

২. নত হয়েত ঈশ্বরের ভয় আর মনে নেই, তাই এই দৃষ্টতা ।

নত কি আওয়াজ এত কি শাঁখ সুনতে পাওয়া জায়েনা । 

যাক গে, অত যদি ভাবতে যাই তালে স্মৃতির পাতা উল্টোনো মুশকিল হয়ে যাবে । 

চুপি সারে ঘরে পৌছে যাই । আমরা যেই ভাড়া বাড়িতে থাকতাম তার সামনে মুখের্জী জেঠুর বিরাট জমিদার বাড়ি । বনেদী বাড়ির ঔজ্বল্য ও ঐশ্বর্য তখন পড়ে জায়েনী । তখন বেশ বড় বাড়ি , ঠাকুর দালান, চাকরের সেনা ও একটা মস্ত বড় রান্নাঘর, যেটা আমাদের গোটা ভাড়া বাড়ির থেকে দ্বিগুন বড় হবে । তবে মুখের্জী জেঠু কে দেখে কিন্তু মনে হত না কি উনি অত বড় জমিদার ও একটা lathe কারখানার মালিক । সন্ধ্যে বেলায় নিয়মিত মুখের্জী জেঠু বিশাল চত্বরে পায়চারী করে করে সসা খেতেন । জমিদারী মেজাজ প্রায় না বললেই হয়ে । অবশ্য এই জমিদারী মেজাজ না থাকার একটা বিশেষ কারণ আছে বটে । মাথায় প্রচন্ড চিন্তা । 

ভাস্কর , মুখের্জী জেঠুর গুণধর সন্তান, ও একমাত্র সম্পত্তি যার ওপরে ভারত সরকারের দাবি তখন অবদি হয়ে নী । অবশ্য সেইটা নিয়ে মুখের্জী জেঠু কোনরকম গর্ব দেখাতেন বলে তো মনে হত না । তবে ভাস্করদা আমার ছোট বয়েসের আদর্শ বলে ভুল হবেনে । মা, বাবা সবাই তখন নিজের ছেলেদের রবীন্দ্রনাথ, বিবেকানন্দ ও সুভাষচন্দ্র বসের উদাহরণ দিতেন, আমি চাক্ষুষ রবীন্দ্রনাথ দেখতাম সামনে । ভাস্করদা আর রবীন্দ্রনাথের মধ্যে বিশেষ কিছু পার্থক্য ছিল না । দুজনেই জমিদার বাড়ির গুণধর, দুজনেদের পেছনে ১৪ খানা মাস্টার , দুজনেদের পড়ায় কোনো মন ছিল না আর দুজনেরই রুচি ছিল কলায়ে । অবশ্য ভাস্করদার জন্য সেই কলাটা যদি সিঙ্গাপুরি হত তালে রুচি আরও বেশি নিত । 

" বাবু। ...... ও বাবু।.. সন্ধ্যে হয়ে গেছে, এবার হোম ওয়ার্ক শেষ করে নাও।  নাত আবার পিটানি হবে।  "

জানিনা কেন যে কাজের আগে মারের হুমকি হত।  আজকাল কার দিনের মাফিয়ারা কিন্তু আমাদের আগেকার দিনের মা বাবার মত হতে পারবে না । খালি দুটো প্রতিক্রিয়া । নয়তো আইসক্রীম খাওয়াবে নয়তো উধম কেলাবে । আমাদের পাড়ার একজন ভদ্রলোক বাড়িতে এসে রোজ এই হুমকি কে ইন্ধন যোগাতেন।  

" বৌদি তারকদার ছেলে, কি দুরন্ত ছিল, কি বলব।  তাকে আজে দেখে মনে হয়েনা ওই বাঁদরকে দেখছি।  "

" কেন কি হয়েছে নতেদা ?"

" সেই ছেলে এখন ডাক্তার।  "

" বলেন কি! কি ভাবে ? "

" তারকদার গুন আছে বলে ভুল হবে না।  ওই বাঁদর ছেলেটাকে প্রায় ঠেঙিয়ে ঠেঙিয়ে ডাক্তার বানিয়ে দিলে ।"

" তাই নাকি।  রুমা বৌদির কি সৌভাগ্য।  সত্তী এক অবিশাস্য ঘটনা ।"

নতেদা, আমাদের পাড়ার চলন্ত সংবাদপত্র। কার বাড়িতে কত কাক এসেছে কত গমের দানা সরাতে পেরেছে তার খবর রাখতেন, অবস্য এই কাজ আজকাল আমাদের news channel গুলো করে, তবে তখন তো আর satellite TV ছিলনা, তাই নতেদা এই শূন্যতা পূর্ণ করত । 

আমি খালি সুনি "ঠেঙিয়ে ঠেঙিয়ে ডাক্তার করে দেওয়া। "  হঠাত কেন যেন ডাক্তারি পেশা একটা খুব নিকৃষ্ট পেশা বলে মনে হলো।  মনে মনে ভাবলাম মার খেতে খেতে যদি ডাক্তার হয়ে তাই বোধ হয় নির্দয় হয়ে ছুঁচ ফোটাতে পারে। 

মোড়ের মাথায় ঘোষ ডাক্তার বসতেন, মনে হলো তাঁকে জিজ্ঞেস করি, কত কেলানি খেয়েছেন।  

নতেদা নিজের চা শেষ করে চলে গেলেন, আবার কাল আসবেন বলে, আজ আমি ঢুকলাম পড়তে, বলেছিলাম না, কাল বুধবার, নখ পরীক্ষণ আছে ।

From the Pages of the Past (Part-1)

কালকে ঘুমোতে ঘুমোতে হঠাথ যেন জীবনের কিছু পুরনো পাতা চোখের সামনে ভেসে উঠলো । হঠাত যেন অনেক কিছু জিনিস খুব তাড়াতারি মস্তিষ্ক ও চোখের মাঝে যে ফাঁক থাকে, সেই দিয়ে চলে গেল । অনেক জনের অনেক নামে আমায় ডাকলো, কেউ বাবু, কেউ বান্টী , কেউ আবার আমার ভালো নাম কল্যাণ । একে একে সবাই যেন ডাকছে । 

বইতে পড়েছি কি ইহলোক আর পরলোকের মাঝখানে একটা বিশাল বড় লোক আছে । সেই লোক পার না করে ওপার যাওয়া জাইনা । কারো কারো জন্য এই লোকটা বয় শুন্য রয়ের শুন্যর মত হতে পারে আর কোনো কনোর জন্য এইটা একটা অবিরাম মরুভূমির মত । জল নেই, আলো শুন্য, খালি বাতাস আর বালি । এই দুই তথ্যের মধ্যে সৃষ্টি হয়ে এক মৃগ্ত্রিশ্নার । সেই মৃগ্ত্রিশ্নার ভেতরে থাকে স্মৃতী । কালকে বোধ হয় সেই মৃগ্ত্রিশ্নার দর্শন হয়েছিল ।

পর্ণস্রীর ওই পাড়া , তাপসদা, সন্জু, সন্নি স্কুল , শায়লা , স্বস্তিকা , বিগ আন্টী , রেবা আন্টী কেমন যেন দ্রুত বেগে চোখ আর মনের ফাঁকের মধ্যে দিয়ে দেখা দিয়ে যায়ে । জানি না কারা বেঁচে আর কারা নেই । ভালো লাগলো । ইটের রাস্তা, পাসে  পুকুর, একটু লম্বা , খুব একটা দিঘীর মত কিন্তু অত বড় না । ওই ইটের রাস্তায় ক্রিকেট খেলতাম শীতকালে আর গরমকালে ফুটবল । মাঝে মাঝে যখন বল পুকুরে পড়ে যেত তখন এর অর ঘাড়ে দোষ চাপানো হত । 
 "এই বান্টি কেন এত জোরে কেন  মারলীরে, কোনো কান্ড গ্নান আছে কি সেটাও ডকে তুলেছিস ?"
  "না তাপসদা ব্যাস লেগে গেল ।" 
"লেগে গেল বৈকী, অত জোরে না মারলে বল কি হাওয়া ভেসে মাঝ পুকুরে চলে গেল ?"
"জানিনা তাপসদা। বোধ হয় এক্সপার্ট হয়ে গেছি। "
" ওহঃ এক্সপার্ট আমার।  তা সুনী বল কি এই এক্সপার্ট আনবে না কোনো জলপরী প্রকট হবেন বল দিতে। "
ভেতরে যেন কিছু খালি হয়ে গেল । এত বড় পুকুর, তাও আবার সাতার ঠিক জানা নেই , আবার বয়েসটা তো কম। তখনে মনে পড়ল বাবা কি বলেছিল।  
"ক্রিকেট খেলাতে ব্যাটসম্যান কিনা রাজা হয়ে, ছক্কা, চৌকো এবং ক্যাচ আউট সব অখ্যাতি ও সুখ্যাতি বোলার নেয়। "
নয়ন বোলিং করছিল তাই ঠিক সময় বাবার দেওয়া শিক্ষা কাজে এসে গেল।  একটা তুমুল বিবাদ আর আমি একা ওই বিবাদে আসামি ও রক্ষক। শেষ পর্যন্ত এই বিবাদ চলল আর খেলা মাথায় উঠলো।  সাড়ে পাঁচটার সময় সন্ধ্য শঙ্খধ্বনি হয়ে আর বল আনার চে বেশি ভয় করে সন্ধ্যের পরে ঘরে পৌছনোর । 
সাতটা বাজার আকে গৃহ কার্য শেষ করা অনিবার্য, নত সাড়ে সাতটায়, ঠিক সংবাদের পরে বিক্রম বেতাল দেখা যাবে না।  
অবশ্য গৃহ কার্য না করলে রেবা আন্টী অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হবেন ও হয়েত স্কেলের বাড়ি খেতে হতে পারে । 

তখন কার দিনে স্কেল ছিল একটা আতঙ্কের বস্তু।  আজ অবশ্য আতঙ্কের পরিভাষা অনেক বদলেছে।  আজ আধুনিক হবার আড়ালে কথাও ওই আতঙ্কটা একটা ব্যঙ্গ হয়ে দাড়িয়েছে । কাল বুধবার, অর্থাত মধ্য সপ্তাহ আর সপ্তাহের সবচে ভয়া বহ দিন । কালকে নখ-পরীক্ষণ হবে, তার মানে সকালে নেল-কাটার চলবে আর সেই-খান থেকে ভয়ের সৃষ্টি ।

আজ যেন ওই বল মাঝ পুকুরে ভাসছে, প্রতীক্ষা করছে কোনো সাতারুর, ওই বল উঠিয়ে নিয়ে যাবে আর আবার খেলা শুরু হবে।  

হঠাত ঝড় তুমুল ঝড় , চারে দিকে বালী আর বালী, তাপশদাকে ডাকলাম কিন্তু নিজের আওয়াজ যেন নিজের কানেই গেল । তাপসদা উধাও, পুকুর আর নেই , কচুরি পানা, পাশে নারকোল গাছ কিছু নেই, সুধু মরুভূমি ।

Sunday, August 13, 2017

A corpse..... Named Democracy.....

Der Friends,

How much is too much?
Lizards in meals to children dying short of breath.  Women being marauded on the streets to merit being slaughtered in the name of reservations.

Everything that Tagore and Bose ever dreamt of this country has been put to the waste bin... And today something stinks.. It is a corpse.. A corpse named Democracy.



कहते थे तुम जीजाजी अब जैल जायेंगे
कहते थे तुम पैसे खाते में चल के आयेंगे
ताले लगे नोटों पे हमने वोह भी झेल लिया
मित्रों कहके तुमने अब बहुत खेल लिया
चेले तुमहारे गाय के नाम पे देते है पीट
बेकार है लोक सभा में हर जीता सीट
आज बस तीन सालो की खुछ यादें हैं
बस तुमहारे अधुरे वादे हैं

बकर बकर सम्बित की या
चुप्पी योगीराज की
सब मिलके थोड़ा करो "प्रतीक्षा"
उपरवाले के गाज की
मैं यह कहता नहीं , पूर्वज तुमहारे कह गये
याद करो उनको अगर कभी याद आती है ....
"कुरसी खाली करो के अब जनता आती है "

खाता हूँ जब मैं टामाटर 100 रूपये किलो के
लगती है चोट बहुत कलेजे में मेरे
फिर भी शाराफत से आता हूँ पेश मैं
मिठास है अब भी लहजे में

पर अब मैं कैसे निहारूँ मासूम लाशो को
कैसे करूँ अंसुना माँ के चीखों को?
ये ना दबेगी गौ रक्षा की आड़ में
ये ना झुकेगी  अब राजनीती की पछाड़ में
भविश्य का क़तल अब होगा नहीं इस देश में
लापर्वाही ना होगी अब आरक्षण के भेस में

करने ना देंगे तुम्हे लोक तंत्र से बलातकार
मित्र मेरे....... अब हो जाओ तैयार .....

Democracy stays democracy till demography is respected. If not then no law can save it.

Friday, August 11, 2017

স্বপ্নের মৃগতৃষ্ণা  .... The Mirage of Dreams

আমরা অনেক সময় অনেক স্বপ্ন দেখি। স্বপ্ন দেখা এইটা  একটা মানুষজনীর বর বললে ভুল হবে না।  তবে অনেক এমন লোক আমি চিনি বা জানি যারা এই স্বপ্নের দিকে এমন ছুটে যায় যে তারা স্বপ্নের মৃগতৃষ্ণা দেখতে পারে না।



ছোট্ট একটা স্বপ্ন ছিল 
কেমন করে ভাঙ্গী আমি 
নিজের ছবিতে মরণ হার 
কেমন করে টাঙ্গি আমি 

একটা হাওয়া কানের পাশে 
যেন ঘুর্নী হয়ে বয়ে 
মাঝে মাঝে আমায় যেন 
কথা পুরানো কয় 

কিন্তু আমি পাগলা ঘোড়া 
স্বপ্নের  পিছু লাগাই দৌড় 
দেখিনা কোনো গলী কানা 
দেখিনা কোনো মোড় 

আপনজনেরা আবছা হলো 
বিবেক হলো ধুয়া 
আস্ত বাস্তবের কড়া পাথরে 
স্বপ্নের আলতো ছোঁয়া 

এগিয়ে যত যাই আমি স্বপ্ন দূরে সরে 
ভাগ্য আমার ঘুমিয়ে থাকে 
বলে........ এস একটু পরে 

কিন্তু আমি হার মানি না 
কারু কথা শুনি না 
আমি আমার স্বপ্নের চাকর 
আমায় কিছু বোলো না 





Saturday, July 29, 2017

Rakshas.... The demon within

Many of us are unaware of the demon within that lies silent and is the biggest killer...

एक राक्षस है अंदर कहीं 
छुपा हुआ , है इंतज़ार उसे पनपने का 
मिलता है मुझे वह मेरे अंदर कभी कभी 
नहीं तो चुपके से रहता है मेरे दफ्तर के तहखानों में 
इस चूहे दौड़ के अंत में वह करता है 
मेरा इस्तक़बाल 
उगलता है कुछ तेज़ ज़हर वो 
चुपके से मेरे कानों में 

लगता हैं लोगो को ये तरक़्क़ी है पर 
खोखलापन  अंदर का कहाँ नज़र आता है 
अंदर ही अंदर मेरा राक्षस मेरे 
मन में जगह बनाता है
मेरे आस पास मेरे मेहरबानो को करता है दरकिनार 
मारता है उन्हें खंजर पीठ पर  मीठे ज़बानो से 

हर दुआ में छिपी बद्दुआ को अच्छे से ढांक देता है 
राक्षस मेरा सबके मनमे ठीक झाँक लेता है 
ये राक्षस है जो कहता है मुझको 
थोड़ा वक़्त और गुज़ारले... 
जीने के लिए वक़्त बहुत है 
आज थोड़ा सा मर ले 

Cheers...

Kalyan

Monday, July 17, 2017

वक़्त की चाल  .... The movement of Time....







नाराज़ है वक़्त  शायद 
तब ही तो यह करवट बदल रहा है 
तख़्त से तख्ती के सफर  के बीच 
सिसक सिसक के संभल रहा है 

सफर के आखिर में आकर ये खो बैठा मंज़िल का पता 
देखने में तो समंदर है पर फिर भी जल रहा है 
बेचाल कदम इसके पड़ते है इर्द गिर्द 
बौखलाए हुए ये बस यूँही टहल रहा है।  

गुज़र रहा है वक़्त यूँही गुज़रते गुज़रते 
है ये मुझे और मेरे शहर को निगल रहा है।