আমার এই কবিতাটি এই সমস্যার ওপর কেন্দ্রিত করে লেখা ......
ভারী ভারী বস্তা বোঝাই
ভেতরে বই রাশিকৃত
বস্তার ভারে ক্লান্ত বালক
শৈশব যে তার হলো মৃত ....
কত পড়া কত শুনা
কত যে তার আছে কাজ
পড়ার বোঝায়ে কোনো কনে
হলো খুন স্বপ্ন আজ ...
ছোট মাথায় চিন্তা বেজায়
প্রতীসতের প্রতিস্রুতী
ওপরে তার মা বাবার চাপ
করতে হবে উন্নতী ....
সাত প্রতিশত খাটনী যে তার
পচানব্বয়ী হবে আনতে
সা জাহানের কুকুরের নাম
সেটাও তাকে হবে জানতে ....
অবাক ভাবে দেখে যে সে
উন্মাদ এই জগত টা কে
ঈশ্বরের অরুচি যে লোক
দেখে সে ওই ভগত টা কে ...
কুকুর ছানা দেখে হিংসে
বেড়াল দেখে কাঁদে যে মন
পড়ার বইয়ের ভারে ব্যথা
ভাঙ্গলো কাঁধ আর ক্লান্ত তন
"চার পায়ে সুখে আছে
আমি দুখী দুটি পায়ে ..
আমার দুঃখ দেখে যদি
ইশ্বর আমায় কাছে নায় "
গুরুমশাই মারে না বেত আর
চাপিয়ে দেয় গৃহকাজ
করতে যে কাজ খালাস যান
মুখে যত কালি সাজ ...
বাবা বলে স্পর্ধা অনেক
না পড়লে পিছিয়ে পড়বে
আমি ভাবি বায়না বৃথা
পাগল লডাই কে লড়বে?
নাম না দিলে ভালো হত
আমি আজকে সংখ্যা মাত্র
কোটি কোটি জনের মাঝে
আরো একটা হাসির পাত্র ....
মা বলে ডাক্তার হতে
বাবা বলে ইন্জিনিয়ার ..
চাই যে আমি উড়তে স্বাধীন
কবে বুঝবে মনটা যে তার ????
No comments:
Post a Comment